চানাচুর নামের পত্রিকাটির জন্ম যদিও দুইহাজার তিনসালের সেপ্টেম্বর মাসে কিন্তু অনলাইনে এলো এই প্রথম। যদিও চানাচুরের প্রায় সব লেথকই ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সার্ফিং এর সাথে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন তবু অনলাইনে আসি আসি করেও চানাচুর আসতে পারছিল না প্রায় অজ্ঞাত কারণেই! অনেক ধরণের ভাবনাই ছিল, কে পড়বে কে লিখবে কে ...কে... ইত্যাদি অপটিমিস্টিক প্রশ্নের তুড়িতে কাজটি হয়েও হচ্ছিল না।....
অবশেষে আজ থেকে এর যাত্রা শুরু হলো পূর্ণউদ্দমেই।
এই মুহূর্তে চানাচুরের (প্রিন্টিং ভার্সন) সম্পাদক হলেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী সংগীতা সরকার টুম্পা। যার প্রিয় কৌতুক হলো: 'ভাইয়া আমি শিক্ষানবীশ পদে অ্যাপলিকেশন করেছি ' টুম্পার পূর্বমুহূর্তে এ দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি ছিলেন বাংলা ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। নাট্যমঞ্চে যার পারফর্মেন্স সবাইকে মুগ্ধ করে। সে কথা যদিও একটু বেশি বলেন কিন্তু মনটা অনেক ভালো। ইচ্ছেকরেই শত্রুকে বুকে জড়িয়ে উদারতা দেখাবার, মহত্ত কেনার শখটা প্রবল। সে স্বপ্ন দেখছে বাংলা থেকে সে ফাস্টক্লাসটা পাবেই, কারণ চানাচুরের আগের সম্পাদক ফার্স্টক্লাস পেয়েছিলেন।...হয়ত বর্তমান মহিলা সম্দক সাহেবও একই স্বপ্ন বুকে লালন করে থাকবেন...হয়থ একারণেই চানাচুর আর চানাচুর না থেকে হয়ে যাচ্ছে অন্যকিছু। একটা ব্যাপারে তিনজন সম্পাদকই মেলবন্ধন তৈরি করেছেন সেটি হলো তারা কেউই ফান পছন্দ করেন না। তারা যা করেন সিরিয়াস কিছু। যা বলেন সিরিয়াস কিছু। অবশ্য আরও একটা মিলতো আছেই তারা তিনজনই সাহিত্যের স্টুডেন্ট।....
যা হোক যেভাবেই হোক চানাচুরের যাত্রা শুরু হলো। কী কিছু বলেন? স্বাগতম বা ভাগতম!

সে আপনার যা খুশি বলুন তবে চানাচুর যা বলতে চায় এবং করতে চায় তা হলো জীবনের অনেক জটিল ঘটনা, কাজ,ইচ্ছাগুলোকে সহজভাবে প্রকাশ করতে চায়। ধরুন আপনি একজন ছাত্র ; বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের বা স্কুলের, আপনার কিছু অভিজ্ঞতা আছে যা আপনি কাইকেই বলতে পারেন না। কেবল নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন আর কাদেঁন কিংবা মিটমিট করে হাসেন...ক্রোধে ফেটে পড়েন...বলতে পারেন না। আপনার সেইকথাগুলো প্রকাশের দায়ভার আজ থেকে চানাচুর নিয়ে নিয়েছে। আপনি বলুন তবে ফানকরে বলুন যেন সাপও মরে ডালও ভাঙে না।
ধরুন আপনার টিচার আপনার বান্ধবী মিতাকে খুব পছন্দ করে তাই সে তাকে অনেক রকম সাপোর্ট দেয় কিন্তু আপনি ছেলে বলে অনেক প্রতিভা থাকা সত্তেও স্যারের কাছে পাত্তা পাচ্ছেন না, কিন্তু এই কথাতো কাউকে বলেও লাভ নাই তাই কী করবেন? বলবেন এভাবে বলবেন-----
সারারাত ঘুমাতে পারিনি, একটা অদ্ভুত স্বপ্ন শুধু তাড়া করে ফিরেছে...এটা কী করে সম্ভব? আমার এতো প্রিয় স্যারটি আর নেই? সে মরে গেছে? তাও আবার পানিতে ডুবে? তা কি করে হয়....
সকাল হতেই ক্লাসে ছুটলাম। আসাদের দোকানে পঁচাবাসী বনরুটি খেয়ে প্রায় সবার আগে গিয়ে ক্যাস্পাসে পৌঁছলাম....স্যার তখনও আসেন নি, আসেবন কী করে তিনি কি আর বেচেঁ আছেন....যাহ কী ভাবছি...স্যাররা একটু পরেই আসে। কতো কষ্টকরে পড়ালেখা শিখেছেন এখন একটু আরাম না করলে হয়? বেতন আহামরি না তবু এ পেশায় এসেছেন সেতো একটু আয়েশের লোভেই। ১০টার গাড়িতে স্যাররা নামলেন। আমি পইপই করে খুজিঁ আমার স্যারকে! কোথায় সে? কই গাড়ি থেকেতো নামতে দেখলাম না!
মনের ভিতর স্বপ্নের ভয়...স্যারকি তবে নেই?
কী যেন এক কষ্টে ভেতরটা কান্নায় ভরে গেছে...গত ইয়ারে নাম্বার কম পেয়েছিলাম বলে স্যারকে বদদোয়া দিয়েছিলাম,,,সে কারণেই কি? ইশ! কেন যে এমন ভাবতে গেলাম। মিতা হয়ত সত্যিই ভালো লিখেছে....আমার চে...কেন যে আমি ভাবতে গেলাম স্যার আমার উপর অবিচার করেছে....কেন যে বদদোয়া দিতে গেলাম!
ধ্যাত! আমি খুব স্বার্থপর! খুব! এখন নিজের মৃত্যুটাই যেন বেশি প্রত্যাশার!
ভাবতে ভাবতে স্যারের চেম্বারের দিকে এগুলাম।
কাছাকাছি যেতেই ঠা ঠা হাসির শব্দ পেলাম। উকিঁ মেরে দেখি স্যার দিব্বি বসে আছেন, স্যারের সামনে মিতা! তারমানে স্যার আটটার গাড়িতেই এসছেন? তারমানে মিতা স্যারের সাথে এতক্ষণধরে আড্ডা দিচ্ছে....
হায়রে কপাল!
আর আমি কী ভেবেছিলাম! স্যারের রুমে ঢোকার সাহস হলো না। তাকে একনজর দেখতে পেরেছি এটাই শান্তির। স্যার যেমনই হোক তবু বেঁচে থাক, অনন্তকাল বেঁেচ থাকুক।
আর কখনও গুরুজনদের নিয়ে নেগেটিভ কিছু ভাবব না এই পণ নিয়ে সিড়িঁ ভাঙলাম....
মনের ভিতর এক প্রশান্তি
যদিও খ্যাচকরে বেজে উঠছে মিতার ঠা ঠা হাসি.....

এই গল্পে টিচারদের বাঁশ যা দেওয়ার তা কিন্তু দেয়াই হলো। মাঝখান থেকে স্যারদের প্রিয় হবার মানে তেলেগু ভাষার চর্চাটাও কিন্তু হলো।

পারবেন না?
নিশ্চই পারবেন। নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে লিখে ফেলবেন আপনার জমানো ব্যাথাগুলোর স্বরলিপি। আপনি নিশ্চই পারবেন। আপনার লেখার প্রত্যাশায় রইলাম....

@অনলাইন ডেভেলপার কাম লেখক