ছুটির দিনের কাব্য
June 29, 2009মে ইয়ে নেহি কেহতা
কে পেয়ারএ মাত কারনা
কিসি মুছাফিরকা মাগার
এতবার মাতগার না।
মুঝে ছোর কে মুঝে ছোরকে
পরদেশি পরদেশি জানা নেহি
পরদেশি পরদেশি জানা নেহি
মুঝে ছোর কে মুঝে ছোরকে
মোহ মোরকে দিল তোরকে
পরদেশি মেরে ইয়ারা ওওও ওওও ও
ওয়াদা নেভানা
মেরে দিলমে ইউহি রেহনা
তুম পেয়ার পেয়ার বানকে
আয়েহো মেরে জিন্দেগি
তুম বাহার বানকে
ফুলো কেমাসাম মে মিলনে আতে হেয়
পাতঝর মে পান ছিবান কার উড় যাতি হেয়
হাসতে আখো গো আ সুদে যাতি হেয়
ওয়াদা করকে জিনা ওয়াপস আতি হেয়
পরদেশি মেরি ইয়ারা গুজরা জামানা
গুসে ইয়াদ রাখ না কাহি ভুলে না যা না।
ভুলে না যা না, ভুলেনা যা না।
ভুলে না যা না, ভুলেনা যা না।
সাচ কেহতি হেয় দুনিয়া ওয়ালি পেয়ারে নাকার
পেয়ারএ তো হেয় ইয়ে রোগ বুরা ইসে রোগ ইসে ডার।
দিওয়ানোকি কিসমাত মে তান হায়ি হেয়
ইশকা তা তু যা নাম ইয়ার জুদা হায়ি হেয়
পরদেশি মেরে ইয়ারা ঝুঝে না রোলা না
তুঝে ইয়াদ রাখনা কাহি ভুলে না যা না।
পরদেশি পরদেশি যা না নেহি
মুঝে ছোর কে মুঝে ছোরকে
পরদেশি মেরে ইয়ারা ওওওওওওওও
ওয়াদা নেভানা।
পরদেশি মেরে ইয়ারা ওওওওওওওও
লটেকে আ না
মুঝে ইয়াদ রাখ না কাহি ভুলে না যা না ॥
নস্টালজিয়ার সবচে বড় মাধ্যম বোধয় গান।
এই গানটি আজ আমাকে নিয়ে গেলো সেই কবেকার স্মৃতিতে! তখন আপুরা বগুড়া থাকত। ভাইয়াও ছির ওঁদের সাথে। ভাইয়া পড়ালেখায় খুব ফাঁকি দিত, আপু দুলাভাইর শাসন এবং তত্ত্বাবধানে যে করে হোক মেট্টিক পাশটা দিক, তারপর মানসিকতা স্থির হয়ে গেলে নিজেই নিজের ভালো বুঝবে। ভাবত সবাই. . . .
অল্পদিনে মধ্যেই ভাইয়া বগুড়াতে নিজেকে মানিয়ে নিল, আর এমনভাবেই মানিয়ে নিল যে স্থানীয়দের বিভ্রম হতো ও কি স্থানীয় ! বাড়ি এসে কথা বলতো বগুড়ার ভাষায়। শিরী আপু সুমি, মুক্তারা ওকে খেপাতো। ভাত খাচ্ছু। কি করিচ্ছু চ্ছু চ্ছু যোগকরে ওকে রাগাত। বগুড়া হয়ে উঠলো ওর জীবনের ¯^‡cœi নগর। বন্ধু ইমরান আর মতিন ছিল জিগারকি দোস্ত! এর মধ্যে ইমরান ছিল বেটার কোয়ালিটির, বরং বেস্ট কোয়ালিটির। ক্লাসে সে অলওয়েজ ফার্স্ট। এইচ.এসসি লেভেল শেষে অনার্সে গিয়ে সেখানেও ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট। ফার্স্ট হওয়াটা যেন তার জন্য ফিক্সড। মতিন ছিল মাস্তান টাইপের। প্রতিবাদী, সাহসী এবং হুরো। আলআমিন নামের এক ছাত্রকাম ব্যবসায়ী বন্ধুও ছিল। যার হোন্ডাটা ছিল ওর আকর্ষেণের গল্পের অন্যতম বস্তু। চিঠিতে ওর এসব গল্প শনে আর আপুর ছেলেমেয়ে রাইহান তানিয়ার জন্য কলিজার মধ্যে কেমন যে করতো! ঈদের ছুটিতে তাই বগুড়া গেলাম।
সারাদিন! সারাটা দিন রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ওর বাহাদুরি আর প্রেমের পঁচা গল্প শুনতাম। হাবিবা নামের মেয়েটি ওকে ভালোবাসে এর হাজারটা প্রমাণ তখন ওর কাছে। প্রজেক্টের ভিতর গিয়ে অনেক গাছের আড়ালে ওকে নাকি কিস খেয়েছে। আমি ওর সব কথাই বিশ্বাস করতাম। কিন্তু ভান করতাম অবিশ্বাস করছি। ও যারপরনাই নিজ তথ্যের প্রমাণে প্রাণ:পাত করতো।. . . .
হাবিবা মেয়েটি সুন্দর! যেমন j¤^v তেমনি সুন্দর এবং খুব বড় ঘরের মেয়ে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ে। ওর ভাইরা একেকটা পালোয়ান-ছবির ভিলেনদের মতো। হাবিবার কাহিনীর সাথে মিল আছে সুমাইয়ার। j¤^vq সৌন্দর্যে এবং ¯^fv‡eI| এমনকি হাবিবার ভাইগুলোও ছিল সুমাইয়ার ভাইদের মতো রোগাপটকা(?) সুমাইয়ার ভাই লিফটে ওঠার সময় বলে নেয় আমি কি উঠবো? আর হাবিবার ভাই যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটে রাস্তা তখন হস্তিনানুভূতি নিয়ে কাইকুই করে, বলে হাতি ভাই ঘোড়ার মতো একটা দৌড়দেওতো বেঁচে যাই।. . .
হাবিবাকে ¯^P‡¶ না দেখা পর্যন্ত সেকি তোলপাড় আমার ভিতর! একদিন সকালে হাবিবা বাসায় এলো, মামা কোথায়?
মামা কে?
ভাইয়ার সাথে ও মামা ভাগ্নি পেতেছে। খেলনাবাড়ির সম্পর্ক! (ছেলে মেয়ে বিয়ে দেয়, পুতুলের মাধ্যমে।) ক্লাসে নাকি কে কে ওদের নিয়ে বাজেকথার সুযোগ নিচ্ছে, ছবির কিছু কুটনা ভিলেনতো থাকেই, তারা, আর তাছাড়া হাবিবার মতো মেয়ের সাথে যে কেউ প্রেমকরে পাড় পেয়েযাবে এটা ভাবও ঠিক না। তাই তাদের মাইন্ড করার ব্যাপারটা আড়াল করতেই তারা মামা ভাগ্নে পাতিয়ে নিয়েছে।
ভাইয়ার সমীহ করার কিছু মানুষ ছিল যারা এলাকার প্রতাপশালী মাস্তান কোয়ালিটির। এদের একজন মামুন ভাই। যে বছরের অর্ধেক জেলে থাকে বাকী অর্ধেক থাকে পালিয়ে। ওই পালিয়ে থাকার মাঝে কদাচিৎ উদয় ঘটে। তখন এলাকায় উৎসব উৎসব আমেজ হয়। অনেক সাঙ্গপাঙ্গ সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া, একসঙ্গে শো ডাউন করা, এলাকার খোঁজখবর নেয়া। †¯^”Qvq দেয়া চাঁদার ভাগ নেওয়া। ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত থাকে। এই লোকটিকে সাংসারিক করার জন্য মা ধরে ছেলেকে বিয়ে করালেন। বাচ্চা একটা মেয়েকে নিয়ে এলেন। মুন্নি ভাবি, গায়ের রঙ অতোটা ফর্সা নয়। তবু সবার চোখে পড়ার মতো। ইনোসেন্ট ফেস। ভাইয়া কেমনকরে যেন আবিষ্কার করে তার মুন্নিভাবিও তার প্রতি দূর্বল! আরকি তাকে খুব দাম দেয়।
এর মধ্যে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাবিবার সাথে ভাইয়ার যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ার উপক্রম। হাবিবা বাসায় আসে। ভাইয়াও সাহস করে বাসার আশেপাশে ঘোরে, একদিন হাবিবার ভাই রাজু ভাই নাকি দেখে ফেলে, সে নাকি ডেকে জিজ্ঞেস করে কি...
ভাইয়া নাকি ভয়ও পায়
আমি তো ভয়ে আরও একধাপ এগিয়ে। ওর গল্পে বিশ্বাস করে ওদিকের রাস্তায় যেন ভুলেও যেন কোনদিন পা না যায় সেজন্য পায়ের সিস্টিমটাই পাল্টে ফেললাম। এমনকি আশুর দোকান বাসুর স্টুডিও কোথাও আমাকে নেযা সম্ভব না। রাজুভাইকে একবার দেখেছি আমাদের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে।
১৯৯৪ সালের দিকের স্মৃতি!
কী অবলীলায় চোখে ভাসছে! যেন দেখতে পাচ্ছি এখনও! ভাইয়া আমি দুজন দুরুমে ঘুমাতাম। মাঝখানে ছিল একটা জানালা। পরদেশি পরদেশি গানটা তখন খুব হিট। শুনতে এতো ভালোলাগতো! ভাইয়া সারারাত গানটা বাজাত। কিন্তু দুলাভাইর জন্য সাউন্ড বাড়ানো সম্ভব ছিল না। ভাইয়া একটা সিস্টেম বেরকরে ফেললো। ওর রেডিওটা কীভাবে কাজে লাগানো যায়। আমরা চেষ্টা করে দেখলাম একটু বুদ্ধি খাটালেই রেডিওর মাইকটা একই সাঙ্গে রেডিও এবং ক্যাসেটের সাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রেডিওটা আমার কাছে আর ওর কাছে ক্যাসেট। আমি যদি গানটা রিপিট শুনতে চাই তাহলে জানালায় দুইটোকা আর যদি পরের গান শুনতে চাই তিনটোকা এবং দুলাভাই চলে এলে বন্ধকরার প্রয়োজন হলে একটোকা। সঙ্কেতের মাধ্যমে গভীর রাত পর্যন্ত এই বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল।
রাস্তায় বেরুলেই গানটা শুনতে পেতাম।
ঈদের দিন ওখানকার রেওয়াজ ছিল কে কত বড় সাউন্ড বক্স ব্যবহার করে গান জোরে বাজাতে পারে। সবচে D‰”P:¯^‡ii গান যেটাতে ছিল সেটাতেও বাজছিল এ গান। পরদেশি পরদেশি
ঈদের দিনটাতো ছিল সদ্য ¯^vaxb দেশের মতো। বাধা নেই ভয় নেই কিন্তু আড়ষ্ঠতা কাটেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গান শুনতাম। আর মামুনভাইর বউকে মাঝে মাঝে দেখতাম এ বাড়ি থেকে ওবাড়ি যাচ্ছে। এটা ওটা নিয়ে। ক্লাস নাইনে পড়ুয়া একটা মেয়ে কী সুন্দর সংসারী হয়ে উঠলো!
ঈদ নিয়ে যে মানুষ এতো আনন্দ করে তা হয়ত বগুড়া না থাকলে জানতাম না।
কুষ্টিয়াতেও আনন্দ হয়, কিন্তু সেটা বেড়ানোর ভিতরেই বেশি। সবাই সবার বাসায় যায়। কোনও বিভেদ থাকে না। এমনকি চেনা না চেনার বালাইও থাকে না।গ্রামের পোলাপনগুলোও মিশে যায় এখানকার ছেলেমেয়েদের সাথে। একসঙ্গে ঘোরে একসঙ্গে খায়। নিজের নতুন জামা প্রদর্শন করে।
বগুড়ার স্মৃতি থেকে সরতে পারছি না। এদিকে জাবির বারবার চেষ্টা চালাচ্ছে আমার কোলে চড়ার নামে মায়ের কাছ থেকে রেহাই নেবে। আমার কোলে আসা মানে কম্পিউটারের মাউস ধরবে। সবুজ বাতিতে আঙুল দিয়ে খোঁচাবে। মোবাইলটা কামড়াবে। ল্যান্ডফোনের কর্ড ছিঁড়বে দাঁত দিয়ে. . . .এসব তাকে করতে দিলে সই, না দিলে অ্যাঁ! ঘাড় ঘুরিয়ে উল্টান দেবে। ব্যথা পাবে।
প্রতিটি ছুটির দিনই ওকে নিয়ে টেনশনে থাকি। গত ছুটির দিনটাতে গিয়েছিলাম আশরাফ ভাইদের বাসায়। শরীফ ভাইর বাবুটার জন্য কিছু নিতে পারিনি। রিক্সা নিয়ে বাসস্টপেজে আসি। মাঝখানে বুথ থেকে টাকা তুলি। মার্কেটের কাছে রিক্সা ছাড়লে বাকী পথের জন্য রিক্সা পাবো না, যদিও রিক্সার পথ না তবু আমি হাঁটেতে পারি না। আর বাবুর মাথায় রোদ লাগে খুব। তারচে পরে দেওয়া যাবে। আশরাফ ভাইরা মাইন্ড করার মানুষ না। ভাবলাম পথ থেকে কিচু নেবো। কিন্তু একগাড়িতেই গিয়ে নামলাম বাসার কাছে.. ..খালি হাতেই যেতে হলো। সেজন্য আমি কিছু ভাবছি না। তাদের সাথে আমার সম্পর্কটা এমনই অকপট! যে ফর্মালিটি করার কিছু নেই। বরং করলেই মাইন্ড খেতে পারে। কিন্তু ও খুব ভাবছে...কাজটা ঠিক হলো না। বাবুটার জন্য কিছু না নিয়ে.. ...
এটা ঠিক যে যাই বলুক আমার বাবুর জন্য কেউ কিছু আনলে আমিও খুশি হই.. ..
আজ ভাবছি সারাদিন বাসায় থকবো। পাখি আমাকে হুমকি দিয়ে গেছে, ছেলেকে না ধরলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ!
তুমি আমার প্রতিভাকে এভাবেই ধংস করবে! আমি এখন কিছুই লিখতে পারি না। ভাব আসে ঠিকই কিন্তু লিখতে গেলে তুমি একটা কিছু দিয়ে মুড নষ্ট করে দেও...
ও তোমার ছেলের চে এখন গল্প লেখা বেশি জরুরি! ঠিক আছে লেখো, আমি যাই ছেলেকে কোলেি নয়ে বসে থাকি! দেখি রান্নাবান্না কী করে হয়!
তোমার জন্য আমার সব প্রতিভাই শেষ হয়ে গেলো। তোমাকে বিয়ে করার পর আমি আর কিছু সৃষ্টি করতে পারলাম না!
পাখি রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়। আমি মেন্টালি চাপ অনুভব করি! আর লিকতে পারি না।
কিন্তু গান শুনলেই আবার কোথায় যেন হারিয়ে যাই!
আবার বগুড়ায়! কিন্তু একটা ব্যাপার ভেবে খুব অবাক হই আমি যাই কিছু লিখি না কেন আমার সামনে যেন একজন মানুষ সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে, এমন প্রজ্ঞাবান আত্মসম্মানবোধ মানুষ সচরাচর চেখে পড়ে না। আমি যেন ইচ্ছে করলেই যা তা লিখতে পারি না, যেন সে মানুষটি আমার লেখা পড়ে হাসছে! বলছে তুমি সাহিত্যিক মানুষ সাত্যি কই? এসবতো তোমার কাছে আশা করি না! আমি নিরাশায় ডুবে যাই আশার সঞ্চরণে! সাহিত্য সৃষ্টি করতে হবে। সাহিত্য । কিছু গায়ে জাড়ালেই সে দুষ্টুমি ত্যাগকরে আমার কোলে এসে চড়ে। মায়ের কোলে যেতেই চায় না। আবার আসার পর সে যদি ঘুমের ভিতরও আমার কণ্ঠ শুনতে পায় (তার wmMv‡i‡Ui c¨v‡KU nvZiv‡”Q, cvwL A‡i a‡iv, cvwL A‡i V¨vKvI. . .wmMv‡i‡Ui A¨vk ‡d‡j Ni f‡i w`‡q‡Q gvDm নাo‡Q Zvi Rb¨I GKUv c½y gvDm Av‡Qm সে †mUv w`‡q †Lj‡e bv, Zvi Rxeš— jvBUR¡jv gvDm jvM‡e|gvDm Dwë‡q †`‡L †b‡e †c‡Ui wfZi jvBU R¡‡j wK bv|) †R‡M I‡V , †Kv‡j P‡o AviI †QvU‡ejv †_‡K †m Rvqbv‡gv‡Ri f³, Avhv‡bi f³ wRKi Gi f³| Zv‡K LvIqv‡Z nq G¸‡jvi †h †KvbIUv w`‡q| Zvn‡j Lv‡e bqZ DëvDwë| MZ QzwUiw`‡b Avkivd fvB‡`i evmvq hvIqvi mgq †m evievi Zvi gv‡qi †Kvj †_‡K Avgvi †Kv‡j চলে Av‡m| wi·v `vuo Kwi‡q Avwg XywK GwUGg ey‡_ এইUzKz mgq †m Lye nvj K‡i| †Kb Zv‡K wbjvg bv! Mvwo‡Z D‡V Avgvi †Kv‡j em‡e| gv‡qi †Kv‡j em‡jI Avgv‡K a‡i ivL‡e nvZ w`‡q| Ii nq_ aviYv n‡q‡Q I‡K dvuwKw`‡q Avwg †hgb cÖwZ`b Awd‡m P‡j hvB AvRI nqZ hv‡ev| I wK Lye Kó cvq? gvÎ GKeQ‡ii GKwU wkï! †m wK GZmewKQz ey‡
আমরাও বাবার জন্য খুব পাগল ছিলাম। কিন্তু আজ্ও আমরা বাবা মার জন্য কিছুই করতে পারিনি। টাকা পয়সা তাদের প্রয়োজন নেই। তাদের যা আছে ত তেই চলে যায়। কিন্তু তবু তাদের প্রত্যাশা কেন আমরা পূরণ করতে পরিনি? আমার জানামতে আমি আমার বাবাকে সবচে কষ্ট দিয়েছিলাম আমার এক্সিডেন্টে! তিনি কেমন মুষড়ে পড়েন, ভেঙে পড়েন। আপু বলেছিল আব্বা তোকে নিয়েই ¯^cœ দেখতেন। মাসুমতো নষ্ট হয়ে গেছে, ওকে নিয়ে আর ¯^cœ আব্বা দেখে না, ভরসা ছিল তোর উপর! তোর এ অবস্থা আব্বাকেই পঙ্গু করে দিয়েছে।
তবু যখন ভার্সিটিতে যেতে পারলাম তিনি হয়ত আবার ¯^cœ দেখতে শুরু করেছিলেন। খাওয়াপড়ার চিন্তা করতে নিষেধ করতেন, বলতেন মানুষের মতো মানুষ হতে। বাবা মার কথা মনে পড়ায় মাকে ফোন দিলাম। তিনি এখন টাউনে। ভাবলাম হাত খালি থাকলে কিছু টাকা পাঠাবো। কিন্তু তার কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সে আছে তার মামাকে নিয়ে। এটা ঠিক এই মামা তাদেরকে নিজের সন্তানের চেও বেশি ভালো বেসেছেন। কিন্তু তার শোধতো কম হলো না। মামাত ভাইদের জন্য বাবা মা দুজনেই যা করেছেন তাও কম নয়। এটা ¯^xKvi করলেও আজ যে তার মামাত ভাইরা এতো ভালো চাকরিবাকরি করছে, কই আমার মার জন্যতো কিছু করেনি! সেই ছোট্টবেলা এতিম পেয়ে কয়েকটা বছর লালন পালন করেছেন তারপর বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন স্রেফ খালিহাতে। তারপর থেকে মামার সন্তানদের টেনে বেড়াচ্ছেন একেরপর এক এই দুইবোন আমার মা এবঙ বড় খালা।
এটা ঠিক যে আমার মা খালারা মামাদের কাছে যে আদর ভালোবাসা পেয়েছেন তাতে কোনও খাদ ছিল না। কিন্তু যে মামার জীবনের এতোকিছু হলো আমার এবং আমার বাবা মার উসিলায় তারকি কোনও কৃতজ্ঞতাবোধ থাকবে না? নাকি ভাববে যে আজও ঋণশোধ হয়নি! হয়ত কৃতজ্ঞতাবোধ আছে কিন্তু খরচকরার মানসিকতা নাই। কৃতজ্ঞতা জানাতেতো আর খরচ হয় না, তাই জানায়। চার আনা খরচ করে না। একবার আব্বুকে ঢাকাতে পেয়ে কী যেন গিফট করতে চেয়েছিল আব্বা নেয়ার মানুষ না এড়িয়ে গেছেন। সেই শেষ আর কখনও চেষ্টাও করেনি । আমার সুপারিশে যদি ব্যাংকের চাকরিটা হয় তাহলে আমাকে একটা ক্যামেরা মোবাইল কিনে দেবে, আজও দেয়নি। নিজে কিনেছে। ১২হাজার টাকা দিয়ে। মিছিলে গিয়ে সেটা হারিয়ে আবার আরেকটা কিনেছে।..
থাক যা বলছিলাম।
বাবাকে আমি আরও একবার আনন্দ দিতে পেরেছিলাম মাস্টার্সের রেজাল্টে। আমার পড়াশুনা দেখে তিনি খুব আশঙ্কাবোধ করতেন কিন্তু মেধার প্রতি তার আস্থা ছিল তাই আল্লাহর কাছে চাইতের ছেলের জন্য ভালো একটা রেজাল্ট। সেটা তিনি পেয়েছেন।রেজাল্টের দিন তিনি স্থির হতে পারেননি। তিনি তখন ভেড়ামারা, আমি ঢাকা।
আমি যখন রেজাল্ট শুনে তাকে ফোন দিলাম
তিনি বলেন দোয়া কী করবো বাবা আমিতো বসতেই পারছি না। খালি ছটফট লাগতেছে। খালি পায়চারি করতেছি।
বললাম রেজাল্ট এখনও টাঙানো হয়নি, তবে স্যার বললেন যদি আমার রোল ১৪ হয় তাহলে আমি ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছি। যদি রাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে কাল এই রেজাল্টই টাঙানো হবে।
আব্বা শুকরিয়া আদায় করলেন। পরদির তাঁকে পুরাপুরি নিশ্চিত করলাম। একাধিক সূত্রে খবর নিয়ে। বন্ধুরা ছোট ভাইবোনরা ফোন দিয়ে কনগ্রাচুলেট করলো। চিনি না এমন অনেকেই উইশ করলো। একটা মেয়ে নাম মেনে নেই বলে ভাইয়া আমরা জানতাম আপনি ফার্স্টক্লাস পাবেন।. . . .
Posted by chanachur i.u