আমার যে একটা নিজস্ব ডোমেইন আছে এটা আর কতোবার বলবো?
কিন্তু এমন একটা ডোমেইন থাতার পরও সেখানে কোনও রেসপন্স পাই না। অথচ সাইটটাতে বেশকিছু বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কোম্পানি। কথাছিল পাঠক বা ক্লিক অনুযায়ী তারা আমারে পেমেন্ট করবে। কিন্তু সাইটটা দেখছে হাতেগোণা কয়েকজন! কেন? বাংলাদেশের মানুষ কি এখনও সাইট সার্ভে করতে অভ্যস্থ হয়ে ওঠেনি? নাকি ....
সে যাক।
একটা ডোমেইন আছে এটাই অনেক। মার্কেটিং এর প্ল্যানিং চলছে।
ভাবছি কিছু লোক নিয়োগ দেবো।
এদিকে চানাচুর অনলাইনে চলে এসছে। গ্রুপে এডমিনের জন্য এপ্লিকেশন করি। এডমিন দেয়া হয় কিন্তু কাজটা কী বুঝতে পারছি না।....
অথচ চানাচুর একদিনের মধ্যে প্রায় সত্তুরজন মেম্বার পেয়ে গেছে।
কী করে সম্ভব?
তবে যেটা বুঝলাম সেটা হলো চানাচুর একটা বিখ্যাত ম্যাগাজিন।
ভাবছি এখন থেকে চানাচুরে এবং সাইটে একসাথে লিখবো। অর্ধেক এখানে আর অর্ধেক ওখানে...না না এটা ঠিক না। বরং লিংক দেয়া যায়।

আশার কথা হলো
এমনকিছু ফ্রেন্ড এসছে ওয়েব সাইটটিতে যাদের নিয়ে খুব গর্ব হয়...তাদের নিয়ে স্পেশালি ভাবতেও হচ্ছে....
এখন থেকে ইংরেজি+বাংলা দুই ভার্সনে লেখা হবে।

এবার আসি চানাচুরে প্রকাশিত গল্প প্রসঙ্গে:
একটিমাত্র গল্প পেলাম সংগীতা সরকার টুম্পা লিখেছেন।
টুম্পাদিকে আমি চিনি। তিনি যে ভালো এবং দীর্ঘ কবিতাও লেখেন তা বোধয় পাঠকরা জেনেছেন। ইংরেজি বিষয়ে পড়াশুনা করলেও তিনি যে মন-মননে পুরোপুরি বাঙালি তা তার পাপ গল্প থেকে বুঝতে পারা যায়।

গল্পে (তার জীবনের?) মেয়েটির মা মেয়েটিকে মহিলা টিচার রাখে প্রাইভেট পড়াবার জন্য। এটা ছিল সাবধানতা। আমাদের দেশের সংস্কৃতি হলো প্রাইভেট টিউটর এর সাথে ছাত্রীর প্রেম ঘটে প্রায় আশিভাগ। এটা কেন হয়? সেই প্রসঙ্গে যাবার দরকার নেই, টুম্পাদি সেদিকে কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। হয়ত তার পঠিত কালচারের সঙ্গে এটা খুবই বেমানান। আমি কেন সেদিকে যাবো? বলছি- মেয়েটির মা চেয়েছেন যেন তার মেয়ে কোনও বিপদে না পড়ে। কিন্তু সম্ভাবনা যেখানে থেকেই যায় সেখানে সাবধানতা হয়ত ব্যক্তিকে কখনও কখনও বাৎচায় কিন্তু সমাজকে বাঁচাতে পারে না।
যেকারণে মহিলা টিউটর একটা দোকানদারের প্রেমে পড়লেন। এটাও বাংলাদেশের প্রাচীনতম দর্শন! অসম প্রেম! না হলে যেন প্রেমই না। বাংলা ছবিগুলো দেখলে এ কথা আরও তীব্রভাবে বোঝা যায়।
তো যা হবার হলো।....
তবে একটা ব্যাপার খুব সাধাসিধে হলেও কিছুটা খটকা লাগে সেটা হলো বাংলাদেশের লেখিকারা বরাবর পুরুষবিষয়ে ভিলিনিশ আবহ বেশি উল্লেখ করেন। এখানে লেখিকা পুরুষটাকে মানে প্রতারকটাকে আরও একটু অন্যভাবেও দেখাতে পারতেন। একধরণের তাচ্ছিল্যভরে তাকে নায়ক থেকে খলনায়ক বানালেন।
যদিও ফর্মটা হচ্ছে তার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া....তাই বলেকি ওই দোকানদার সম্পর্কে্আরকিছু যোগকরা যেতো না?

আর বিশেষকিছু বলতে চাই না।
টুম্পাদির কাছে আরও গল্প চাই...আরও আরও!